সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সমূহে শুরু হয়েছে ভোট গণনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ পৌরসভার ১০টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
এর আগে সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় এ নির্বাচন পিছিয়ে যায় এবং এ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ ৬ বছর পর এই প্রথমবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এ পৌরসভার অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে সবকয়টি কেন্দ্রই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল থেকে নারী পুরুষের লাইন ধরে ভোট প্রদান করেন। তবে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি সংখ্যা বেশি ছিল। ২/১ কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও সবকয়টি কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন ৪ জন।
তারা হলে, আওয়াম লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা), সতন্ত্র প্রার্থী বাবুল শেখ (জগ) শহিদুল ইসলাম (নারিকেল গাছ) ও আল-আমিন (মোবাইল) এছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন কাউন্সিলর ১২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পর্যন্ত ভোট গণনায় নৌকা ও জগ প্রতিক প্রার্থী এগিয়ে রয়েছে। তবে একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত তাড়াশ পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ২৮৭ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ৯ হাজার ৮২০ জন, পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৪৬৭ জন, তৃতীয় লিঙ্গের ১জন।
সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার শহিদুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ওই পৌরসভার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
কেন্দ্র সমূহে ভোট গণনা চলছে এবং রাতেই ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে। এদিকে ওই পৌরসভার অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কেন্দ্র সমূহে বিজিবি, পুলিশ, র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স, একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করেন।